এশিয়ান গেমস

এশিয়ান গেমস: ১৮ বছর বয়সী মেয়েটির নাম শুনলে অদ্বৈত মল্লবর্মণের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ উপন্যাসটা মনে পড়তে পারে। কিন্তু হাংজুতে আজ এশিয়ান গেমস ক্রিকেটের ফাইনালে তাঁর বোলিং দেখে মনে হতে পারে, তিতাস শুধু নদী না ঝড়েরও নাম!

আগে ব্যাট করে বেশি রান তুলতে পারেনি ভারতের মেয়েদের ক্রিকেট দল। ৭ উইকেটে ১১৬ রানে থেমেছিল ইনিংস। ভারতের জয়ে এই পুঁজিকেই যথেষ্ট বলে প্রমাণ করেছেন পেসার তিতাস সাধু। শ্রীলঙ্কার ইনিংস ৮ উইকেটে ৯৭ রানে থেমে যাওয়ার পেছনে বড় অবদান তাঁর ৪–১–৬–৩ বোলিং ফিগারের!

ফাইনালে শ্রীলঙ্কার মেয়েদের ১৯ রানে হারিয়ে এশিয়ান গেমস ক্রিকেটে অভিষেকেই সোনা জিতল ভারত। তিতাস গত জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় মেয়েদের প্রথম অনূর্ধ্ব–১৯ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালেও ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ভারতের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন। আজকের ফাইনালে প্রথম বলেই পেয়েছেন উইকেট!
রান তাড়া করতে নেমে ২ ওভারে বিনা উইকেটে ১২ রান তুলে ভালো শুরু পেয়েছিল শ্রীলঙ্কার মেয়েরা।

তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম ডেলিভারিতেই তিতাস ফিরিয়েছেন লঙ্কান ওপেনার আনুষ্কা সঞ্জীবনীকে। দুই বল পর তিনে নামা ভিষ্মী গুনারত্নেকেও আউট করে শ্রীলঙ্কাকে পাল্টা চাপে ফেলেন তিতাস। নিজের পরের ওভারে তুলে নেন লঙ্কান অধিনায়ক ও তারকা ব্যাটার চামারি আতাপাত্তুকেও। ভালো শুরু পাওয়া শ্রীলঙ্কা ৪.২ ওভারের মধ্যে ১৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে তখনই ছিটকে পড়ার পথে ছিল।

এরপরও শ্রীলঙ্কার ইনিংস ১০০ রানের কাছাকাছি গিয়েছে চতুর্থ উইকেটে হাসিনি পেরেরা ও নীলাক্ষী ডি সিলভার ৩৬ রানের জুটি এবং রানাসিংহে ও ডি সিলভার ২৮ রানের জুটিতে ভর করে। হাতে ৬ উইকেট রেখেও জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে ৪৩ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি শ্রীলঙ্কা।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতও বিপর্যয়ে পড়েছিল। তবে সেটা ইনিংসের শেষে গিয়ে। ওপেনিংয়ে স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি বর্মার ১৬ রানের জুটির পর তিনে নামা জেমিমা রদ্রিগজের সঙ্গে ৬৭ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন মান্ধানা।

১৫ বলে ৯ রানে আউট হন শেফালি। ১৪.৫ ওভারে দলীয় ৮৯ রানে মান্ধানা (৪৬) আউট হওয়ার পর আর বড় জুটি গড়তে পারেনি ভারত। ইনিংসের শেষ ৩১ বলে ২৭ রান তুলতে ৫ উইকেট হারায় ভারত। ২১ রানে ২ উইকেট নেন ইনোকা রানাভেরে।

Zidan

By Zidan

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *