মেসি–রোনালদো: লিভারপুল, নটিংহাম ফরেস্ট; ৩ নম্বর নামটা কি ‘ম্যানচেস্টার সিটি’ হবে? কেন এই প্রশ্ন, সেটা অনেকেই হয়তো জানেন। যাঁদের অজানা, তাঁদের জন্য তথ্য, পরপর দুই মৌসুমে ইউরোপ-সেরা হওয়ার কীর্তি শুধু দুটি ইংলিশ ক্লাবের—লিভারপুল (১৯৭৬-৭৭ ও ১৯৭৭-৭৮) ও নটিংহাম (১৯৭৮-৭৯ ও ১৯৭৯-৮০)। তখন অবশ্য চ্যাম্পিয়নস লিগ নাম ছিল না, ছিল ইউরোপিয়ান কাপ। চ্যাম্পিয়নস লিগ নাম হওয়ার পর কোনো ইংলিশ ক্লাবই শিরোপা ধরে রাখতে পারেনি। পেপ গার্দিওলার এই ম্যানচেস্টার সিটি এবারের মৌসুমটা শুরু করবে সেই অনন্য কীর্তি ছোঁয়ার লক্ষ্য নিয়ে। বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা মাঠে নামবে আজ নতুন মৌসুমের প্রথম দিনই, ইতিহাদে সিটির প্রতিপক্ষ সার্বিয়ান ক্লাব রেড স্টার বেলগ্রেড।
তিনি চ্যাম্পিয়নস লিগের রাজা। সেই রাজা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোই নিজের প্রিয় টুর্নামেন্টে দর্শক হয়ে ছিলেন গত মৌসুমে। মৌসুমের অর্ধেকটা ছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে, যারা গতবার চ্যাম্পিয়নস লিগেই সুযোগ পায়নি। বাকি অর্ধেক কাটিয়েছেন আল নাসরে, যাদের চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলার সুযোগই নেই। রোনালদো এখনো আল নাসরে, এখনো তাই তিনি দর্শকই। রোনালদো না থাকলেও গত মৌসুম পর্যন্ত লিওনেল মেসি ছিলেন। এবার তিনিও পিএসজি ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে। দুই দশক ধরে যাঁরা ইউরোপের ফুটবল শাসন করেছেন, তাঁদের ছাড়াই এবার শুরু হচ্ছে ইউরোপের ফুটবলের নতুন মৌসুম। হয়তো আর কখনো দুজনকে ইউরোপের ফুটবলেই দেখা যাবে না। আসলেই তো এ এক নতুন যুগের শুরু।